সন্দেহভাজন করোনা রোগীর ক্ষেত্রে:
উপসর্গ :
- জ্বর, (৯৯ ডিগ্রি বা তার থেকে বেশি)
- শুকনা কাশি।
- গলা ব্যাথা।
- শ্বাসকষ্ট।
- শরীর খারাপ লাগা।
- সর্দি ভাব।
- বুক ব্যাথা।
- মাথা ব্যাথা।
- পাতলা পায়খানা, ডায়রিয়া।
- মুখে স্বাদ না থাকা।
- নাকে গন্ধ না পাওয়া।
এই ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় :
- মুখে স্বাদ অথবা নাকে গন্ধ না পেলে অথবা এই উপসর্গসমূহের মধ্যে অন্তত ২টি থাকলে দ্রুত করোনা পরীক্ষা করুন।
মৃদু উপসর্গ এর ক্ষেত্রে:
- নাকে গন্ধ না পাওয়া।
- জ্বর ১০০ ডিগ্রির নিচে।
- শুকনা কাশি।
- মুখে স্বাদ না থাকা।
- গলা ব্যাথা।
- ক্লান্তি ভাব।
- ডায়রিয়া, বমি, এবং পাতলা পায়খানা হওয়া।
- মাথা ব্যাথা হওয়া।
- পেশীতে ব্যাথা হওয়া।
এমত অবস্থায় আমাদের করণীয় হলো :
- যদি রোগীর নতুন উপসর্গ দেখা দেয় বা তার আগের উপসের্গের অবনতি হয় তাহলে দ্রুত আমাদের ডক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিকে ১৪ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকতে হবে চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত অনুযারী। তবে এই সময়মীমা কম বেশি হতে পারে।
- থার্মোমিটারের মাধ্যমে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
- রোগীর জন্য আলাদা থাকার ঘর, এবং শৌচাগার এর ব্যাবস্থা করতে হবে।
- রোগীকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি যুক্ত ফল খেতে দিতে হবে। এই ফল গুলো হলো : আমলকি, লেবু, কমলা, মাল্টা।
- রোগীর দৈনন্দিন ব্যবহৃত তৈজসপত্র আলাদা করতে হবে। যেমন : গ্লাস, থালা, কাপ, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি।
- রোগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাতে উৎসাহিত করতে হবে এবং করাতে হবে।
মাঝারি উপসর্গ এর ক্ষেত্রে :
উপসর্গ :
- পূর্ববর্তী উপসর্গের সাথে :
- পেশীতে ব্যাথা হবে।
- জ্বর (১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রি)
- শরীরে ব্যাথা।
- নিয়মিত কাঁপুহিসহ শরীরে শিরশিরে ভাব।
- ক্লান্তি অনুভব।
- ভারি কাশি হবে।
- শ্বাসকষ্ট হবে। অক্সিজেন এর মাত্র রক্তে ৯৪% এর নীচে নেমে আসবে।
এইক্ষেত্রে আমাদের করণীয় :
- এই ক্ষেত্রে পালস অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেন স্যাচুরেশন সর্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
- উপুর হয়ে শুয়ে থাকতে হবে, যদি উপুর হয়ে শুতে পা পারে তাহলে পাশ ফিরে শুতে হবে।
- কালিজিরা, মধু, রসুন ইত্যাদি খেতে হবে।
- ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে হবে।
- দিনে একবার নাকে কালিজিরা ভিজানো পানির ড্রপ নিতে হবে।
- দিনে কম করে ২ থেতে ৩ বার নিঃশ্বাসে গরম পানির ভাব নিতে হবে।
- এক দিনে কম করে ২ থেকে ৪ কাপ গরম মসলার চা থেকে হবে।
- কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিকে ১৪ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকতে হবে । তবে চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত অনুযারী সময়মীমা কম বেশি হতে পারে।
- রোগীর শরীরের তাপমাত্রা থার্মোমিটার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
- রোগীর থাকার জন্য আলাদা কক্ষ এবং আলাদা শৌচাগারের ব্যাবাহার করতে দিতে হবে।
- রোগীকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খেতে দিতে হবে।
- রোগীর দৈনন্দিন ব্যাবহৃত তৈজসপত্র আলাদা করে দিতে হবে।
- রোগীতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাতে হবে।
তীব্র উপসর্গ এর ক্ষেত্রে :
উপসর্গ :
- পূর্ববর্তী উপসর্গ গুলোর সাথে ।
- রোগী কিছুই খেতে পারে না।
- চেহারা, ঠোঁট, জিভ নীলচে রং এর হয়ে যাওয়া।
- তীব্র ভাবে শ্বাসকষ্ট।
- চোখের বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়। যেমন : চোখ ফুলে যাওয়া, চোখ থেকে পনি পড়া।
- পানি শূণ্য হয়ে যাওয়া।
- রোগী বিভ্রান্ত হয়ে যায়। জ্ঞান হারিয়ে ফেলা।
- ঘন ঘন বমি হতে থাকা।
এই ক্ষেত্রে করণীয় :
- রোগীকে যত দ্রত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। অথবা রোগী যদি বাসায় বসে সেবা নিতে চায়। তাহলে নার্সিং হোম কেয়ার এর সাহায্য নিতে হবে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পরবর্তী উপসর্গ :
উপসর্গ :
- নামে গন্ধ না পাওয়া।
- চুল পড়া।
- মুখে স্বাদ না থাকা।
- র্যাশ হওয়া।
- হৃৎস্পন্দন দ্রুত হওয়া।
- উদ্বিগ্ন হয়ে যাওয়া।
- কাশি হওয়া।
- মাথা ব্যাথা করা, পেশীতে ব্যাথা করা।
- ঘুমের ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়া।
- মনযোগ এর ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়া।
- নিশ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি হয়।
- স্নায়বিক জটিলতা দেখা দেওয়া।
- শরীরে ক্লান্তি অনুভব হওয়া।।
এই ক্ষেত্রে রোগীর করণীয় :
- যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
করোনা ভাইরাসে নতুন উপসর্গ সমূহ:
- বুকে হালকা ব্যাথা।
- জিহ্বা ফোলা।
- পায়ের তালুতে লালচে ভাব দেখা দেওয়া।
- গলা ব্যাথা হওয়া, মাথা ব্যাথা হওয়া।
- হাতের এবং পায়ের আঙ্গুলের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া।
- হাতের তালুতে জ্বালাপোড়া করা।
- ডায়রিয়া হওয়া।
- চোখ জ্বালাপোড়া করা।
- বুকে হালকা হালকা ব্যাথা হওয়া।